Facts , Media , Knolez , Quotes, Inspiration, Motivation, History , Politics, Sports, Travel, Animals ,Places, Incidents And Others. // ঘটনা , খবর , জ্ঞান , উক্তি, অনুপ্রেরণা, প্রেরণা, ইতিহাস, রাজনীতি, খেলাধুলা, ভ্রমণ, প্রাণী, স্থান, ঘটনা এবং অন্যান্য।

Responsive Ads Here

শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২

অথ মমতা কথা / মাই ডিয়ার লটারি

 অথ মমতা কথা/মাই ডিয়ার লটারি 

বর্তমান রাজ্যে এক অন্যতম ব্যাবসা লটারি যা রাজনীতির ছায়াতলে প্রসারিত হয়ে মানুষ ঠকানোর ভয়ংকর ব্যাবসায় রূপান্তরিত । 

দক্ষিণ ভারতের এক লটারি কোম্পানি নাগাল্যান্ড সিকিম পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাবে তাদের ব্যবসা শুরু করে।।

দিনে চারটে করে খেলা হয় এবং প্রত্যেক খেলার জন্য রাজ্য সরকারকে তারা 10 হাজার টাকা করে দেয়।। যদিও পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে টাকার পরিমান হল 20 হাজার ।




সেই লটারি কোম্পানিতে কাজ করত এরকম একটা লোক জালিয়াতিটা বুঝতে পারে এবং থানায় একটা অভিযোগ করে।।

অভিযোগে লেখা হয় যে ওই লটারি কোম্পানিটা দু ধরনের টিকিট তৈরি করে এক ধরনের টিকিট সাধারণ মানুষকে বিক্রি করা হয় এবং আরেক ধরনের টিকিট রাখা হয় উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের পরিবারের লোক, রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য।।

দ্বিতীয় শ্রেণির যে টিকিটগুলো থাকে সেখানেই বড় বড় পুরস্কার গুলো বাধে।। গরিব মানুষরা 6 টাকায় 1 কোটি জেতার আশা নিয়ে যে টিকিট কাটে সেই আশা পূরণ হয় না।


খুব সোজা অংকে এই লটারি কোম্পানিটা কাজ করে।।

1 কোটি 20 লাখ cash দিলে আপনি এক কোটির পুরস্কারের টিকিট পাবেন একটা ।।

তার থেকে TAX কেটে বাকি টাকা আপনি ফেরত পাবেন মানে খুব সহজেই কালো টাকা সাদা হয়ে গেল। ঘুষের টাকা একটু খরচা করে যদি সাদা করে না হয় তাহলে অসুবিধা কোথায়? 

তৃণমূল বিধায়কের wife বা অনুব্রত মণ্ডল কিভাবে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়েছিল এবার আশা করি বুঝতে পারছেন।

যাই হোক উপরে উল্লেখ করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হল এবং কয়েকজনকে অ্যারেস্ট করা হলো।।

আলিপুর কোর্টে মামলা চলছিল. . . অ্যারেস্ট হওয়া লোকজন বেল পাচ্ছিল না কারণ তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র কলকাতায় নয় উল্টোডাঙ্গা এবং বাঁকুড়াতেও মামলা হয়েছিল।।

সেই কোম্পানি দেড়শ কোটি টাকার electrol bond দেয় এক বিশেষ রাজনৈতিক দলকে।। শোনা যায় প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা cash ও দিতে হয়েছিল এবং তার ফলে ওই অ্যারেস্ট হওয়া লোকজন অদ্ভুতভাবে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সহায়তায় বেল পেয়ে যায়।। প্রত্যেকটা মামলা থেকে বেল পেয়ে যায় অভিযুক্তরা এবং তারপর সেই মামলার কি হলো তার খোঁজ কেউ রাখেনি।। 

পুরো ব্যাপারটা দেখভাল করেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোন এক কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মহাশয়।। তিনি ওই লটারি কোম্পানির লোকজন কে নিয়ে যান হাইকোর্টের এক উকিল বাবুর চেম্বারে।। 

যাই হোক সেই উকিল বাবু বিভিন্ন চিট ফান্ড কোম্পানি থেকেও টাকা পেয়েছেন এবং তারও প্রমাণ আছে। পুরোটাই খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবে।



যারা রাজ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন তাদেরকে আলাদা করে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না, কোন উকিল বাবুর কথা বলছি।

যাই হোক এই সব কিছুর পরে ওই লটারি কোম্পানি এখন মোটামুটি কালো টাকাকে সাদা টাকা করার কাজ করে এবং কামধেনু গরুর মত ওই বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রায়শই টাকা দিয়ে যায়।। 

আর হ্যাঁ, ওই বিশেষ লটারি কোম্পানির আরো বেশ কতগুলো কোম্পানি আছে সেগুলোর প্রত্যেকটার রেজিস্টার্ড অফিস কিন্তু কালীঘাটে।।

লটারি কোম্পানি টার নাম জানা আছে তো ?  এই লটারি জালিয়াতি কে কেন্দ্র করে ই ডি,  সি বি আই সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গতকাল ই কতকগুলো এজেন্ট এবং বেশ বডসড় কয়েকটি মাথা জালে আটকা পড়েছে । অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি টা বেশ আড়োলন ফেলেছে । আরো অনেক রাঘব বোয়াল কে জল থেকে তোলা বাকি । তবে এ লটারি  বর্তমান শাসক দল অথবা পশ্চিমবঙ্গ বাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করতেই পারে । যা তা লটারি নয় , এক্কেরে মাই ডিয়ার লটারি ! 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন